ধর্ষককে দেখলে চিনবেন ঢাবির সেই ছাত্রী
রাজধানীর কুর্মিটোলায় ধর্ষণের শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষার্থীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার সকালে এ তথ্য জানায় ঢামেক কর্তৃপক্ষ।
একই দিন সকালে ওই শিক্ষার্থীকে দেখতে ঢামেকের ওয়ান স্পট ক্রাইসিস সেন্টারে যান মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাসিমা বেগম। এ সময় ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার সেই শিক্ষার্থী আাসমিকে দেখলে চিনতে পারবে বলেও সাংবাদিকদের জানান মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, আমরা ওর সঙ্গে কথা বললাম, “দেখলাম যে এই মেয়েটি অত্যন্ত সাহসী। সে সাহসের পরিচয় দিয়েছে। মেয়েটি দেরি না করে ঢাকা মেডিকেলে গিয়ে বুদ্ধিমত্তারও পরিচয় দিয়েছে। আলামত নষ্ট হতে দেয়নি। এখন পরীক্ষা করে ডিএনএ মিলিয়ে প্রকৃত ধর্ষককে শনাক্ত করা কঠিন হওয়ার কথা নয়।” তিনি আশা করেন, দ্রুতই আসামি ধরা পড়বে।
ওই ছাত্রীর বুদ্ধির প্রশংসা করে নাছিমা বেগম বলেন, ঢাবি ছাত্রী বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছেন। আলামত নষ্ট হতে দেয়নি। এখন পরীক্ষা করে ডিএনএ মিলিয়ে প্রকৃত ধর্ষককে শনাক্ত করা কঠিন হবে না।
উল্লেখ্য, রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর শেওড়ায় বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে রওনা হয়েছিলেন ওই তরুণী। ভুলে কুর্মিটোলায় বাস থেকে নামার পরপরই তাকে অনুসরণ করে ধর্ষক। তাকে মুখ চেপে ধরে সড়ক থেকে তুলে নিয়ে পাশের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধর্ষণ করা হয় তিন ঘণ্টা ধরে। পরে ওই ছাত্রী জ্ঞান ফিরে আসলে বন্ধুদের খবর দেন। তাদের সহায়তায় গভীর রাতে তাকে ঢাকা মেডিকেলের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ক্যান্টনবোর্ড ও শাহবাগ থানায় দুটি মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।